অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দিয়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)। গণতন্ত্র, শান্তি, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার এই প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন (সিএইচআরআইও) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের প্রতি তার অসামান্য অবদানের জন্য মাদার অব ডেমোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। তিনি (খালেদা) যে এখনো গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্যে কারাবরণ করছেন, অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন, গণতন্ত্রের জন্য অবদান রেখেছেন- এসব কারণে এই সম্মাননা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কানাডিয়ান হাই কমিশনও এখানে এটাকে এন্ড্রোস করেছে।’
সম্মাননা স্মারকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বলা হয়েছে, ‘দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সুরক্ষা ও অগ্রগতির পাশাপাশি গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও আইনের শাসনের জন্য তার অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সাজা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। দুই বছর কারাবাসের পর করোনা মহামারি প্রাক্বালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসায় আছেন।
মাঝে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তাকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সবশেষ ৮১ দিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন।